ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুর শহরে সোমবার (১৭ মার্চ) রাত থেকে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় পাথর নিক্ষেপ, দোকান ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করে এবং পরে কারফিউ জারি করা হয়।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, নাগপুরের মহাল এলাকায় সোমবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়, যেখানে পুলিশের দিকেও ব্যাপক পাথর নিক্ষেপ করা হয়। এতে ছয়জন বেসামরিক নাগরিক ও তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন।
এরপর সংঘর্ষ কোতোয়ালি ও গণেশপেঠ এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক হাজার মানুষ ব্যাপকভাবে পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালায় এবং দোকান ও গাড়িতে আগুন দেয়।
বিদেশ
ধর্মীয় সহিংসতায় উত্তপ্ত ভারতের নাগপুর, কারফিউ জারি

ছবি: সংগৃহীত
ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুর শহরে সোমবার (১৭ মার্চ) রাত থেকে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় পাথর নিক্ষেপ, দোকান ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করে এবং পরে কারফিউ জারি করা হয়।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, নাগপুরের মহাল এলাকায় সোমবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়, যেখানে পুলিশের দিকেও ব্যাপক পাথর নিক্ষেপ করা হয়। এতে ছয়জন বেসামরিক নাগরিক ও তিনজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন।
এরপর সংঘর্ষ কোতোয়ালি ও গণেশপেঠ এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক হাজার মানুষ ব্যাপকভাবে পাথর নিক্ষেপ ও ভাঙচুর চালায় এবং দোকান ও গাড়িতে আগুন দেয়।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোর পর্যন্ত পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে আটক করে। পরে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী যোগেশ কদম সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান, এখন পর্যন্ত ৪৭ জনকে আটক করা হয়েছে, তবে সংঘর্ষের মূল কারণ এখনো চিহ্নিত করা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল নাগাদ পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসলেও কারফিউ বহাল রয়েছে। সংঘর্ষের কেন্দ্রস্থল মহাল অঞ্চল ছাড়া নাগপুরের অন্যত্র জনজীবন স্বাভাবিক রয়েছে বলে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান।
পুলিশ নাগরিকদের অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না বের হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনাস্থল আরএসএস-এর প্রধান কার্যালয়ের কাছাকাছি এবং নাগপুরেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিশের বাসভবন অবস্থিত।