বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার পর থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেটে দিন বদলের হাওয়া লেগেছে। তাই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একের পর এক নতুন রেকর্ড করছে টাইগাররা। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুইশ রানের গণ্ডি পেরিয়েছিল টাইগার বাহিনী। এবার দ্বিতীয় ম্যাচেও বৃষ্টির হানা দিলেও ১৭ ওভারে ২০২ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছে স্বাগতিকরা। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ জয়ে আইরিশদের ২০৩ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
বুধবার (২৯ মার্চ) চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক পল স্টার্লিং। তবে ঝুম বৃষ্টিতে খেলা ১৭ ওভারে নেমে আসে। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারটা দেখেশুনেই করেছিল বাংলাদেশের ওপেনাররা।
এরপর থেকেই আইরিশদের বোলারদের ওপর চড়াও হয় স্বাগতিকরা। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪২ বলে ৯১ রানের বিধ্বংসী জুটি গড়া লিটন দাস আর রনি তালুকদার বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় ম্যাচেও উড়ন্ত সূচনা করেন। ফলে মাত্র ৩.৩ ওভারেই দলীয় পঞ্চাশ পূরণ করেন তারা। যা বাংলাদেশের দ্রুততম দলীয় পঞ্চাশ।
উইকেটের চারদিকে বাহারি সব খেলতে থাকেন লিটন-রনি। আইরিশ বোলাররা চোখেমুখে সর্ষেফুল দেখছিলেন। ৭.১ ওভারেই ১০০ ছোঁয় বাংলাদেশ। এটা টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের দ্রুততম দলীয় সেঞ্চুরি পূরণের রেকর্ড (৪৩ বৈধ ডেলিভারিতে)। এর আগে রেকর্ডটি ছিল আগেই ম্যাচেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৮.৫ ওভারে।
লিটন দেশের ইতিহাসের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েন ১৮ বলে। রনি তালুকদারেরও সুযোগ ছিল ২৩ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার। সেই চেষ্টা করেছিলেনও তিনি। কিন্তু বেন হোয়াইটকে তুলে মারতে গিয়ে লংঅন বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন রনি। ২৩ বলে ৪৪ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ছিল ৩টি চার আর ২টি ছক্কার মার। দশম ওভারে দলীয় ১২৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
লিটন ৪০ বলেই পৌঁছে গিয়েছিলেন ৮৩ রানে। সুযোগ ছিল বিধ্বংসী এক সেঞ্চুরির। কিন্তু ১৭ রানের জন্য তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারটা ছুঁতে পারলেন না ডানহাতি এই ওপেনার। নিজের ভুলেই ফেরেন সাজঘরে। বেন হোয়াইটের ওয়াইড বল ব্যাটে লাগাতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন লিটন। ৪১ বলে ৮৩ রানের ঝোড়ো ইনিংসে হাঁকান ১০টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কা।
এরপর সাকিব আল হাসান আর তরুণ তাওহিদ হৃদয়ের ২৯ বলে ৬১ রানের জুুটি। ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ১৩ বলে ২৪ করে আউট হন হৃদয়। ২৪ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন সাকিব।