কানাডা সরকারের চোখে সারা বিশ্বে সক্রিয় সন্ত্রাসী চরমপন্থী গোষ্ঠীর তালিকায় ’ইসলামিক স্টেট- বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের নাম উঠে এসেছে।
নতুন এই তালিকায় ‘ইসলামিক স্টেট- বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সরকারি ভাষ্যে বলা হয়, এই সংগঠনটির আরেক নাম- দায়েস বাংলাদেশ।
কানাডা সরকারের তালিকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট ৭৩টি চরমপন্থী সংগঠন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত আছে।
এই প্রথম বাংলাদেশের নাম ব্যবহার করা কোনো সংগঠনকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি তালিকায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হল।
কানাডা সরকারের ভাষ্য অনুসারে, ২০১৪ সালে গঠিত এই সংগঠনটি বাংলাদেশে তাদের অনুসারীদের সে দেশের রাজনীতিবিদ, সংসদ সদস্য, আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, এমনকি অমুসলিমদের উপর হামলার উৎসাহ দিয়েছে।
পাবলিক সেফটি বিভাগের ভাষ্য অনুসারে, ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে আইএস প্রধান আবু বকর বাগদাদির নেতৃত্বের প্রতি অনুগত্য প্রকাশ করে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের একটি গ্রুপ ‘বেঙ্গলি মুসলিম’ গঠনের লক্ষ্য নিয়ে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে।
২০১৬ সালে ঢাকার হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলার পরিকল্পনাকারী দুইজনের একজন এই গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা বলে মনে করা হয়।
কলামিস্ট, উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান বলেন, ইসলামিক স্টেট-বাংলাদেশ বা দায়েস- বাংলাদেশ নামে যে সন্ত্রাসী সংগঠনের অস্তিত্বের কথা কানাডার পাবলিক সেফটি মন্ত্রণালয়ের তালিকায় এসেছে, তা নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক।
ধর্ম তথা উগ্র সাম্প্রদায়িক মৌলবাদের নামে যে কোন সন্ত্রাসী সংগঠনের ক্ষেত্রেই জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার।
কানাডা সরকারের সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় বাংলাদেশের নাম থাকায় প্রবাসী বাঙ্গালীদের মধ্যে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন- এই মুহূর্তে এ ধরনের খবরে আমরা বিস্মিত, হতবাক। বিদেশের মাটিতে আমরা কোনভাবেই দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে দেব না।