বুধবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে টাঙ্গাইল-৬ আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটুর লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ বা ৩ কোটি ৪০ লাখ মানুষ ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা পাবে। বিতরণ কার্যক্রমের প্রথম পর্যায়ে দেশের ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ডোজ টিকা পাবে।
অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সংসদ নেতা বলেন, যথাসময়ে করোনাভাইরাসের টিকা প্রাপ্তির বিষয়ে সরকার শুরু থেকেই উদ্যোগ নেয়। সরকার ইতোমধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউট ইন্ডিয়া এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভিড-১৯ টিকা কোটি বা ততোধিক ডোজ ক্রয় করার ব্যবস্থা সম্পন্ন করেছে। এসব টিকা জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহেই দেশে আসবে বলে আশা করা যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৬৪ জেলা ও ৪৮৩টি উপজেলা ইপিআই স্টোরে এসব টিকা সংরক্ষণ করা হবে। চুক্তি অনুযায়ী কোটি বা ততোধিক ডোজ টিকা ৬টি ধাপে সরাসরি বাংলাদেশের ৬ জেলায় নির্ধারিত ইপিআই কোল্ডস্টোরসমূহে পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। উপহারের ২০ লাখ এবং ক্রয়কৃত ৫০ লাখ ডোজ টিকা সংরক্ষণ ও বিতরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৬ মাসের মধ্যে সব টিকা পাওয়া যাবে। এর বাইরে প্রয়োজনে আরও টিকা ক্রয় করা হবে।