এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তত আছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সেজন্যই সংশ্লিষ্ট বিলগুলো দ্রুত পাস করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় কার্যদিবসের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিল উত্থাপন করে জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশের আলোচনা স্থগিত করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এসময়, আইন প্রণয়ন কার্যাবলীতে তিনটি বিল উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বিল তিনটি হলো, ইন্টারমিডিয়েট ও সেকেন্ডারি এডুকেশন সংশোধন বিল-২০২১, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সংশোধন বিল-২০২১ ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড সংশোধন বিল-২০২১। সংশোধনীগুলো পাস হলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়া ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল ঘোষণা এবং পাসের সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনি কোনো বাধা থাকবে না।১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থী এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরে সরকার পরীক্ষা ছাড়াই মূল্যায়নের মাধ্যমে এইচএসসি ও সমমান শ্রেণির ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে জেএসসি এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে এইচএসসির ফল নির্ধারণ করার ঘোষণা দেয় সরকার।
কিন্তু পরীক্ষা ছাড়া ফল প্রকাশে আইনগত জটিলতা দেখা দেয়। এ কারণে ডিসেম্বরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। পরে সরকার আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয় এবং মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর আজ সংসদে তা তোলা হলো।
ফল প্রকাশের জন্যই এসব বিল পাস হওয়া জরুরি বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।