রোনালদো ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন মাত্র ২০ বছর বয়সে ।তিনি বার্সেলোনার মতো ক্লাবে গিয়ে গোলবন্যা ছুটিয়েছেন। দু-দুবার বিশ্বের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় হয়ে ক্লাব বদলেছেন ২১ বছরের মধ্যেই। ১মবার পিএসভি আইন্দহোভেন থেকে বার্সেলোনায়, ২য়বার বার্সা থেকে ইন্টার মিলানে।
ব্রাজিলের রোনালদোই ছিলেন, লিওনেল মেসি-ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর যুগ শুরু হওয়ার আগেই হাতেগোনা দু-একজন ফুটবল তারকাদের মধ্যে একজন ছিলেন, যাঁরা উঠেছিলেন জনপ্রিয়তার শীর্ষতম চূড়ায়। শুধু সাধারণ মানুষই থেকে শুরু করে, এমনকি সমসাময়িক অনেক ফুটবল তারকাও ছিলেন রোনালদোর অন্ধভক্ত। যেমন।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ইংলিশ স্ট্রাইকার অ্যান্ডি কোলই বলেন, রোনালদোর ইন্টার মিলানের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার আগে প্রিয় তারকাকে দেখে উত্তেজনায় আরেকটু হলে নিজের প্যান্ট ভিজিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি, ‘আমি মিথ্যা বলব না। যে মৌসুমে আমরা ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হয়েছিলাম, ম্যাচ শুরুর আগে টানেলে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে উত্তেজনায় ওকে দেখে নিজের প্যান্ট ভিজিয়ে দিচ্ছিলাম প্রায়!’
যে ম্যাচটার কথা অ্যান্ডি কোল বলছেন, তা ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমের কোয়ার্টার ফাইনালে হয়েছিল। কোল বলেন, ‘ও এমন একজন খেলোয়াড়, যাকে আমি বছরের পর বছর ধরে অনুসরণ করেছি। সাহসী বলে কেউ থেকে থাকলে সেটা রোনালদো। ফুটবলার হিসেবে একজনের যা যা থাকা দরকার, ও সব ছিল। তাই টানেলে যখন ওর পাশে দাঁড়ালাম, মনে হল, কী আজগুবি ব্যাপারস্যপার এসব! ভাবলাম, আমি আসলেই ওর মতো তারকার সঙ্গে একই মাঠে খেলতে যাচ্ছি, একই পর্যায়ে খেলছি। এ অনুভূতি প্রকাশ করার মত না।’
কোল আরো বলেন, রোনালদো চোটে জর্জরিত না হলে কেউ ধরতেও পারতেন না, ‘এখনকার ছেলেরা রোনালদো সম্পর্কে ভালোভাবে জানেও না। ও যদি বারবার চোটে না পেলে, তাহলে ও একের পর এক ব্যালন ডি’অর জিতেই যেত। গোল করত জিলিয়ন জিলিয়ন। ও এতটাই ভালো ছিল।’