ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদলনেতা এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় আসামি নাহিদ হাসান পাপেল আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। অপর দুই আসামি রাব্বি ওরফে কবুতর রাব্বি ও মেহেদী হাসানের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
আজ মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ আসামিদের আদালতে হাজির করে পাপেলের স্বীকারোক্তি রেকর্ড ও রাব্বি ও মেহেদীর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা আসামি পাপেলের জবানবন্দী রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। আর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ দুই আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে গত সোমবার রাব্বিকে মুন্সীগঞ্জের টংগীবাড়ি থানাধীন সুভচনী এলাকা থেকে, মেহেদীকে চাঁনখারপুর এলাকা থেকে ও পাপেলকে বংশাল থানাধীন নাজিরা বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
এর আগে এ মামলায় গত ২৬ মে আসামি রিপন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। আর আসামি সোহাগ, হৃদয় ইসলাম ও রবিনদুই দিন করে রিমান্ডে গেছেন।
এরও আগে গত ১৩ মে আসামি মো. তামিম হাওলাদার, পলাশ সরদার ও সম্রাট মল্লিক গ্রেপ্তার হর। পরের দিন তাদের কারাগার পাঠানো হয়। গত ১৭ মে তাদের ছয়দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এরপর গত ২৩ মে তাদের ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এ নিয়ে এ মামলায় মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলা থেকে জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসার সময় ১৩ মে রাত ১১টার ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫)। রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধুরা সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ১৪ মে সকালে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।