গাজা উপত্যকায় গাজা সিটির সাবরা এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় একই পরিবারের অন্তত ২৫ সদস্য নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার এ হামলা হয়।
সাবরা এলাকাটি দখল ও ধ্বংস করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত আগস্টের শেষে ওই এলাকার দিকে ইসরায়েলি ট্যাংক অগ্রসর হতে শুরু করে। গতকাল ভোরে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে সাবরা এলাকার বেশ কিছু বাড়িতে বোমা ফেলা হয়।
হামলার শিকার পরিবারটির এক সদস্য বলেন, ‘আমি সারা বিশ্বের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, দয়া করে আমাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। আমাদের আত্মীয়স্বজনকে জীবিত কবর দেওয়া হয়েছে। আমরা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তাঁদের আর্তচিৎকার শুনছি, কিন্তু তাঁদের কাছে পৌঁছাতে পারছি না।’
হামলার শিকার পরিবারটির এক সদস্য বলেন, ‘আমি সারা বিশ্বের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, দয়া করে আমাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। আমাদের আত্মীয়স্বজনকে জীবিত কবর দেওয়া হয়েছে। আমরা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তাঁদের আর্তচিৎকার শুনছি, কিন্তু তাঁদের কাছে পৌঁছাতে পারছি না।’
ওই সদস্যের অভিযোগ, ধ্বংসস্তূপে উদ্ধারকাজ চালানো মানুষদের ওপর ইসরায়েলি ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে।
গত শনিবার বিকেল নাগাদ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাব অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৬৫ হাজার ২৮৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৭৫ জন।
ওই সদস্য আরও বলেন, ‘যখনই আমরা তাঁদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করি, ইসরায়েলি ড্রোন থেকে তখন আমাদের ওপর গুলি চালানো হচ্ছে। উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালাতে যাওয়া প্রতি পাঁচজনের মধ্যে চারজন মারা যাচ্ছেন আর মাত্র একজন বেঁচে ফিরতে পারছেন।’
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ছোট গাড়িতে করে আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আশপাশে মানুষ ভিড় করছে। ভিডিওতে আরও দেখা গেছে, এক মা কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, ‘আমি আমার সব সন্তানকে হারিয়েছি।’
গত শনিবার বিকেল নাগাদ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাব অনুসারে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৬৫ হাজার ২৮৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৭৫ জন।
এদিকে গাজার মধ্যাঞ্চলে বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের আলাদা এক বিমান হামলায় চার শিশুসহ সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) পরিচালিত একটি ক্লিনিকের কাছে এ হামলা চালানো হয়।