বৈঠকে ধরলা, দুধকুমার, গোমতী, খোয়াই, মনু ও মুহুরীসহ মোট ১৪টি নদীর পানিবণ্টন চুক্তি করার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রস্তাব করবে। বাংলাদেশ চায় উভয় দেশ আন্তর্জাতিক পদ্ধতি মেনে এসব নদীর পানি ব্যবহার করুক।
গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি নবায়ন সামনে রেখে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের সদস্যরা আগামী মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিল্লিতে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। বৈঠকে অংশ নিতে যৌথ নদী কমিশন বাংলাদেশের সদস্য আবুল হোসেনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আগামীকাল সোমবার ঢাকা থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হবেন।
যৌথ নদী কমিশন বাংলাদেশের সদস্য আবুল হোসেন গতকাল শনিবার বলেন, এটি কমিশনের নিয়মিত মিটিং। এ মিটিংয়ে সাধারণত গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি ঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, অর্থাৎ চুক্তি অনুযায়ী নদীর পানি ভাগাভাগি হচ্ছে কি না সেটা দেখা হয়। জানুয়ারি থেকে মে সময় পর্যন্ত ফারাক্কা ব্যারেজে দুই দেশের প্রতিনিধি থাকেন। তারা প্রতিদিন চারবার করে পানি পরিমাপ করেন এবং ১০ দিনের গড় হিসাব করে দুই দেশ কতটুকু পানি পেল, সেটা দেখা হয়। এ মিটিংয়ের আনুষ্ঠানিক আলোচনা মূলত এসব বিষয়ে। তবে আমরা অন্যান্য বিষয়েও অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করে থাকি।
তিনি বলেন, শুষ্ক মৌসুমে চাহিদা অনুযায়ী পানি গঙ্গা নদীতে থাকে না। ফলে গড়াই নদীতে পানির প্রবাহ কমে যায়, সুন্দরবন পানি পায় না। এরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি অনেক বছর ধরে বাংলাদেশ হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের সময় বাংলাদেশ গড়ে ৪০ হাজার কিউসেক পানি চাইবে। পাশাপাশি চুক্তিটি দীর্ঘমেয়াদি করার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।