প্রথমবারের মতো ইসরাইলের বিরুদ্ধে ক্লাস্টার মিউনিশনযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে হুথি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী। গত ২২ আগস্ট রাজধানী তেল আবিবে চালানো হামলায় মারাত্মক এই যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী— আইডিএফ। কয়েক ধাপের আকাশ প্রতিরক্ষা থাকা সত্ত্বেও ক্ষেপণাস্ত্রটি ঠেকাতে ব্যর্থ হয় তারা।
মূলত, চার ধরণের প্রতিরক্ষা ফাঁকি দিয়ে ইসরাইলে আঘাত হানে ইয়েমেনের ছোড়া মিসাইলটি। যেটি থামাতে ব্যর্থ হয়েছে মার্কিন প্রযুক্তির থাড, আলোচিত আয়রন ডোম, অ্যারো, ডেভিড স্লিংয়ের মতো শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। গভীর রাতে সবাই যখন ঘুমে আচ্ছন্ন, তখনই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে তেল আবিব।
এরপরই আলোচনায় আসে ক্ষেপণাস্ত্রটি। ইসরাইলি বিমানবাহিনীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, হামলায় ব্যবহার করা হয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্লাস্টার ওয়ারহেড যুক্ত মিসাইল। প্রায় দুই বছরের সংঘাতে এবারই প্রথম ক্লাস্টার মিসাইল ব্যবহারের নজির গড়ল ইয়েমেনি বাহিনী।
কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যালিস্টিক মিসাইলের চেয়েও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে আধুনিক এই সমরাস্ত্রটি। ভূমির ৭-৮ হাজার মিটার উচ্চতায় ছোট ছোট ওয়ারহেড কিংবা সাবমিউনিশনে বিভক্ত হয় ক্লাস্টার বোমা। যা ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায়। ঘটতে থাকে একের পর এক বিস্ফোরণ।
