কাশ্মির, নদীর পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে ভারতকে বিস্তৃত সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। একইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “যদি রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক পথ পরিহার করে যুদ্ধ শুরু হয়, তাহলে তা দুই দেশের জন্যই সীমাহীন যন্ত্রণা ডেকে আনবে।
ইসলামাবাদে ইয়োম-ই-তাশাকুর (ধন্যবাদজ্ঞাপন দিবস) উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেহবাজ বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী। কাশ্মির ও পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা শেষ হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও সন্ত্রাসবাদ দমনে যৌথ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, “সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তান সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি। এই সন্ত্রাসের কারণে আমরা হারিয়েছি ৯০ হাজার প্রাণ, অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ১৫ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।”
সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পরিচালিত ‘অপারেশন বুনইয়ান উন মারসুস’-এর সাফল্য উদযাপন উপলক্ষে এই আয়োজন করে সেনাবাহিনী। এতে অংশ নেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির, এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবর, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ, মন্ত্রিসভার সদস্য, শহীদদের পরিবার এবং ক্রীড়া ও বিনোদন অঙ্গনের তারকারা।
শেহবাজ বলেন, “আমরা যুদ্ধে জয়ী হয়েছি, তবে তারপরও আমরা শান্তি চাই। কারণ যদি কখনও পরমাণু শক্তিধর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়, তাহলে দক্ষিণ এশিয়ার ১৬০ কোটিরও বেশি মানুষের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।”