আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেবার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি-ভুক্তভোগীর করা মামলায় আটক ৫
কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ
আটককৃতরা হলেন, কুমারখালীর দুর্গাপুর গ্রামের আশিকুর রহমান সজীব (৩৭), শিলাইদহের নাওতি গ্রামের আবু জাফর, একই ইউনিয়নের জাহেদপুর গ্রামের তারেক মন্ডল, নয়ন শেখ ও ঝিনাইদহের শৈলকূপা থানার পুরাতন মালিথীয়ার রাব্বি মল্লিক।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী নারীর ভাবির আপন দুলাভাই সৌদি প্রবাসী মোঃ মনছুর আলী আনুমানিক ১ বছর পূর্বে ভুক্তভোগীর ভাবির মোবাইল ফোন হ্যাক করে এবং তাদের স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও ও মেসেজ সংগ্রহ করে। বিষয়টি ভুক্তভোগীর ভাবি জানতে পেরে মনছুরের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় । এরপর মনছুর ভুক্তভোগী নারীর সাথে ইমুতে যোগাযোগ করে এবং এক পর্যায়ে তাদের উভয়ের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে । এরপর থেকে মনছুরের সাথে ভুক্তভোগী নারীর অডিও-ভিডিও কলে কথা হয় এবং তাদের উভয়ের মধ্যে ভার্চুয়ালি গভীর সম্পর্ক হয়। তাদের উভয়ের মধ্যে হওয়া গভীর সম্পর্কের ভিডিও ও ছবি মনছুর সংরক্ষণ করে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী নারী তার ভাবির থেকে মনছুর সম্পর্কে জানতে পারে এবং তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। এরপর মনছুর ভুক্তভোগী নারীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন মানুষের কাছে পাঠিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে মানুষিকভাবে হয়রানি করে এবং বিভিন্ন লোক পাঠিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে। এরপর ১৫ই মে মনছুরের নির্দেশে আশিকুর রহমান সজীব, আবু জাফর, তারেক মন্ডল, নয়ন শেখ ও রাব্বি মল্লিক ভুক্তভোগী নারীকে তার আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেবার ভয় দেখিয়ে ৮ লক্ষ টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিত টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
কুমারখালী থানার ভারপ্রার্প্ত কর্মকর্তা মোঃ সোলায়মান শেখ বলেন, আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেবার ভয় দেখিয়ে ৮ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অপরাধে ভুক্তভোগী নারী ৬ জনকে আসামী করে মামলা করেন। বৃহস্পতিবার রাতে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল আসামি মনছুর সৌদিতে থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে ।