বড় পর্দায় আসছেন ম্যাডোনা। না, তিনি অভিনয় করবেন না। তাঁর বর্ণময় জীবন নিয়ে সিনেমা হবে। নিজের বায়োপিক নিজেই পরিচালনা করবেন তিনি। সে জন্য লেখা হচ্ছিল চিত্রনাট্য। ম্যাডোনার সঙ্গে যৌথভাবে তা লিখছিলেন ‘জুনো’ সিনেমার অস্কারজয়ী চিত্রনাট্যকার ডায়াব্রো কোডি। কিন্তু এই লেখক ও চিত্রনাট্যকার অর্ধেক চিত্রনাট্য লেখা শেষ করেই বলেছেন, টা টা বাই বাই। ম্যাডোনা আর কোডির শৈল্পিক ও সৃজনশীল ভিন্নতাকে এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে মার্কিন মিডিয়া। যদিও এ বিষয়ে কেউ কোনো মন্তব্য করেননি। এদিকে এসব নিয়ে কিছুই যে বলবেন না, তা অন্যভাবে জানিয়েছেন ম্যাডোনা। ইনস্টাগ্রামে টপলেস একটা ছবি পোস্ট করে ৬২ বছর বয়সী এই কুইন অব পপ লিখেছেন, ‘আমাকে কেন সব সময় কারণ দেখিয়ে জবাবদিহি আর ব্যাখ্যা–বিশ্লেষণ করতে হবে? আমি পারব না।’
ম্যাডোনার কাছের এক সূত্র ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সানকে বলেছে, ম্যাডোনা কী চান, তা তিনি বেশ ভালোই বোঝেন। এই মুহূর্তে তিনি একজন ভালো লেখক চান। তিনি একজন পারফেকশনিস্ট। আর এই সিনেমার বিষয়ে তিনি একচুলও ছাড় দেবেন না। এদিকে এই সিনেমার ঘোষণায় ম্যাডোনা বলেছিলেন, ‘আমার জীবনের অনেক না–বলা গল্প আছে। আছে অপ্রকাশিত সত্য আর রোমাঞ্চকর অনুপ্রেরণামূলক ঘটনা। আমার জীবনের এই রোলার কোস্টার ভ্রমণে সবাইকে স্বাগত জানাই।’
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান রাজ্যে বেড়ে উঠেছেন পপতারকা ম্যাডোনা। নিউইয়র্ক সিটির ঝুপড়িতে বাস করা ম্যাডোনা হয়ে উঠেছেন সংগীত তারকা। তাঁর ‘লাইক আ ভার্জিন’ ও ‘ভোগ’ গানের মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পেছনের গল্প তুলে ধরা হবে পর্দায়। সংগীতে প্রায় চার দশকের ক্যারিয়ার পপতারকা ম্যাডোনার। ঘটনাবহুল বর্ণাঢ্য সে জীবন নিয়ে সিনেমা বানানো হবে। সেই জীবনীচিত্র পরিচালনা করবেন তিনি নিজেই। এই সম্পর্কে মার্কিন এই পপতারকা বলেন, ‘একজন সংগীত ও নৃত্যশিল্পী এবং মানুষ হিসেবে আমার পথচলার গল্প মানুষের সামনে তুলে ধরতে চাই। অবশ্য ছবির বিষয়বস্তু থাকবে সংগীত। গানই আমাকে সামনে এগোনোর অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। শিল্পই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। নিজের অনেক না–বলা কথা আর অনুপ্রেরণার গল্প আমি এই সিনেমায় তুলে ধরতে চাই। আমার সেসব গল্প আমার চেয়ে ভালো আর কেই–বা বলতে পারবে!’
ম্যাডোনার জীবনীচিত্রের নাম ঠিক হয়নি। ম্যাডোনার ভূমিকায় কে অভিনয় করবেন এবং কবে নাগাদ ছবিটির শুটিং শুরু হবে, সেসব কোনো কিছুই জানা যায়নি। ছবিটির পরিবেশক হবে বিখ্যাত ইউনিভার্সাল পিকচার্স। এর আগে ম্যাডোনা ‘ফিলথ অ্যান্ড উইসডম’ ও ‘ডব্লিউ ডট ই’ ছবি দুটি পরিচালনা করেছিলেন। গানের পাশাপাশি অনেক চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি।
১৯৭৭ সালে সংগীতে ক্যারিয়ার শুরু করেন মার্কিন পপ তারকা ম্যাডোনা। ১৯৮২ সালে বেরিয়েছিল তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম। বেস্ট সেলিং নারী শিল্পী হিসেবে গিনেস বুকে নাম রয়েছে ম্যাডোনার। তাঁর গাওয়া ৪৬টি গান ইউকে চার্টের সেরা পাঁচে স্থান পেয়েছে। ম্যাডোনার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘লাইক আ ভার্জিন’, ‘হ্যাং আপ’, ‘হলিডে’, ‘লা ইসলা বোনিতা’, ‘লাইক আ প্রেয়ার’ প্রভৃতি।