২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মার্ডার’ ছবিটি তাঁকে অন্য রকম পরিচিতি এনে দেয়। তাঁর সাফল্যের ঝুলিতে একে একে এসে যোগ হয় ‘গ্যাংস্টার’, ‘কলিযুগ’, ‘রাজ থ্রি’র মতো ছবিগুলো। পাশাপাশি উত্তাল চুম্বনদৃশ্যে অভিনয়ের জন্য ছড়িয়ে পড়ে ইমরানের কুখ্যাতি। তাঁর মতো করে পর্দায় চুম্বনের সাবলীল অভিনয় আর কেউ করতে পারেন না। তবে এ জন্য কম ঝামেলা পোহাতে হয়নি তাঁকে। এমনকি মারও খেতে হয়েছে স্ত্রীর কাছে।
১৯৭৯ সালের ২৪ মার্চ মুম্বাইয়ের এক মুসলিম পরিবারে জন্ম ইমরানের। তাঁর বাবার নাম আনোয়ার হাশমি, মায়ের নাম মাহিরা হাশমি। ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মুম্বাই’, ‘সাংঘাই’-এর মতো ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয় করে তিনবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন ইমরান। ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে ৪০টি মতো ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। তবে ‘মার্ডার’-এর পর তাঁকে আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি। ইমরানের জনপ্রিয়তা বাড়ে ‘সিরিয়াল কিসার’ হিসেবে। এমন কোনো ছবি নেই, যেখানে তিনি তাঁর নায়িকাকে চুমু খাননি। একারণে অনেকে আবার মজা করে ইমরান হাশমি না বলে ‘ইমরান কিসমি’ নামেও ডাকেন।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ইমরান হাশমি অভিনীত ‘মুম্বাই সাগা’ ছবিটি। এ ছাড়া তাঁর অভিনীত ‘চেহেরে’ ছবিটি রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। রুমি জাফরি পরিচালিত এই ছবিতে ইমরান ছাড়াও দেখা যাবে অমিতাভ বচ্চনকে।