সম্প্রতি আল-জাজিরায় “অল দা প্রাইম মিনিষ্টার ম্যান” শীর্ষক বিতর্কিত প্রতিবেদনে বিএনপি ও জামাত-শিবিরের লবিষ্ট বার্গম্যান এর Money in motion এর ম্যানেজার তথা শেয়ার হোলাডার জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি ডঃ কামাল হোসেনের মেয়ে ব্যারিষ্টার সারা হোসেনের স্বামী। ডেভিড বার্গম্যান Money in motion অংশীদারিত্বের মালিকানার সূত্রে বিকাশেরও অন্যতম অংশিদার। ডেভিড বার্গম্যান সুইডেন থেকে প্রকাশিত “নেত্র নিউজের” বাংলা সংস্করণের সম্পাদক তাসনিম খলিলের সহায়তায় দেশ বিরোধী বিবিধ কার্যকলাপ বহুদিন থেকে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আল-জাজিরা কর্তৃক All the Prime Minister’s man শীর্ষক ডকুমেন্টারীটি সম্প্রচার করে।
ষড়যন্ত্রের রূপরেখা দেশ বিরোধী এই ধরনের আন্তর্জাতিক প্রচারণায় বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে। এই কার্যক্রমে Money in motion এর অন্যতম স্বত্তাধিকারী ডেভিড বার্গম্যান জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশ বিরোধী প্রচারণায় Money in motion এর সাথেMoney in motion এর অংশীদারিত্বে পরিচালিত বিকাশ’র দায় এড়াতে পারেনা বলে সংশ্লীষ্টরা মনে করেন।
আল-জাজিরা চক্রান্তের হোতা বার্গম্যান বিকাশের পরিচালক বার্গম্যানের স্ত্রী ড. কামাল হোসেনের মেয়ে সারা হোসেনের মাধ্যমে বিকাশ দেখভাল করছেন বলে অনুসন্ধানে ৭১ টিভির মাধ্যমে প্রকাশ হয়।
কাতারভিত্তিক বিতর্কিত টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরায় বাংলাদেশকে নিয়ে চক্রান্তমূলক মিথ্যা প্রতিবেদন তৈরী এবং প্রচারের হোতা ডেভিড বার্গম্যান ‘মানি ইন মোশন’ এর একজন বড় অংশীদার হয়ে বাংলাদেশের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশে বিনিয়োগ করেছে বলে জানা য়ায়।
সাম্প্রতিক সময়ে নানা আলোচনায় এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সম্প্রতি ৭১ টেলিভিশনের নিয়মিত সংলাপ একাত্তর জার্নালে এ বিষয়ে বিকাশের চিফ এক্সর্টারনাল অ্যান্ড কর্পোরেটর অ্যাফেয়ার্স শেখ মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামকে বার্গম্যানের অংশীদারিত্বের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও তিনি এড়িয়ে যান।
সূত্রে জানা যায়, বার্গম্যান অনেক দিন বাংলাদেশেও অবস্থান করে, সাংবাদিকতাও করেছেন। বাংলাদেশে তিনি দ্যা ডেইলি স্টার, নিউজ এজ এবং বিডি নিউজ ২৪ ডট কমে বহু দিন সাংবাদিকতা করে গেছেন।
বাংলাদেশের সরকারকে নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে যে চক্রান্ত হচ্ছে সেখানে বার্গম্যান খুবই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। এর সহযোগী হিসেবে তারা পাশে পেয়েছেন বাংলাদেশের আরেকজন বিতর্কিত সাংবাদিক তাসনিম খলিলকে। তারা একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠা করেছেন বিতর্কিত ওয়েব পোর্টাল ‘নেত্র নিউজ’ যেখানে মূলত বাংলাদেশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়। বার্গম্যান এবং তাসনিম খলিলের দীর্ঘ্য দিনের চক্রান্তের সাম্প্রতিক ফসল হল আল-জাজিরার ‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টার্স ম্যান’ শীর্ষক ডকুমেন্টারি। বার্গম্যান যেহেতু মানি ইন মোশনের মাধ্যমে বিকাশের সঙ্গে জড়িত।
সম্প্রতি বিকাশ দেশের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেনাপ্রধান ও সরকারি নানা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও সরাসরি চক্রান্তে নেমেছে এবং লাখ লাখ লিফলেট বিলি করেছে তাদের ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে। এর কিছুটা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও এসেছে।
লিফলেট বিতরণের এসংক্রান্ত বেশ কিছু ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। কোনো একটি কোম্পানির লোকেরা এসব লিফলেট বিতরণের দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন ভিডিওতে পারস্পরিক কথোপোকথন থেকে ও দেশি-বিদেশি অংশীদারিত্বে পরিচালিত আর্থিক কোম্পানিটির নাম চলে এসেছে।
সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সারা দেশে বিতরণ করা এধরনের উস্কানিমূলক লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করে উস্কানি দেওয়া এবং দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন গুলোর কর্মপ্রক্রিয়ার মতই সংশ্লিষ্টরা তাদের বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। প্রক্রিয়ার সঙ্গে দেশি-বিদেশি একটি কুচক্রীমহল জড়িত বলেও তথ্য পেয়েছেন সংস্থাগুলো।
রাজধানী এবং রাজধানীর বাইরে বিভিন ্নএলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক দিন আগে একটি আর্থিক কোম্পানি তাদের ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে এসব লিফলেট বিতরণ করিয়েছে। পরে ডিস্ট্রিবিউটরদের কর্মীরা বিভিন্ন এজেন্ট পয়েন্টে গিয়ে এজেন্টদের হাতে হাতে এসব লিফলেট দিয়ে এসেছেন। বিভিন্ন এজেন্ট পয়েন্টে থাকা সিসি ক্যামেরায় যা ধরা পড়েছে।
সরকারি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ এ বিষয়ে ১০ হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলাও করেছে। মামলাটি এখন পুলিশব্যুরোঅবইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে। আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে পিবিআই আদালতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেবে।