আলোচিত মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম ওরফে পাপুলের শূন্য হওয়া আসনে (লক্ষ্মীপুর-২) উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আছেন আওয়ামী লীগ-যুবলীগের অন্তত ১৬ নেতা।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই এলাকায় ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেছেন মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতা ও তাঁদের অনুসারীরা।
আওয়ামী লীগ গত শুক্রবার এই আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে। গত সোমবার পর্যন্ত ১৬ জন মনোনয়নপত্র কিনেছেন। আজ বুধবার পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম বিক্রি হবে।
ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন দলের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক, সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম এক্স শাহীন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাঈদুল বাকীন ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপপরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সামছুল ইসলাম পাটওয়ারী, আমরা কজন মুজিব সেনার প্রতিষ্ঠাতা এ এফ এম জসিম উদ্দীন, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রানা আফছারী, রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম নবী নেওয়াজ করিম চৌধুরীর স্ত্রী রেশমা আক্তার, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আবুল কাশেম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিনসহ ১৬ জন।
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই মনোনয়নদৌড়ে ঘুরেফিরে চার থেকে পাঁচজনের নাম বেশি আলোচিত হচ্ছে। তাঁদেরই একজন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী। তাঁর দাবি, তাঁর সাংগঠনিক তৎপরতা ও মানবিক কর্মকাণ্ডের কারণে লক্ষ্মীপুরে দলের সমর্থন বেড়েছে।
আর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুকের আশা, দল এবার তাঁকে ‘মূল্যায়ন করবেন’। তাঁর দাবি, জেলা আওয়ামী লীগ তাঁর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে।
মনোনয়নপ্রত্যাশী সাঈদুল বাকীন ভূঁইয়া সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী এবং লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সাংসদ এ কে এম শাহজাহান কামাল জামাতা। বাকীন ভূঁইয়ার দাবি, দলের দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন। এলাকায় উন্নয়নকাজও করেছেন।
আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সামছুল ইসলাম পাটওয়ারী মনোনয়ন চান, কারণ ‘চারদলীয় জোট সরকারের আমলে নির্যাতিত হয়েও আন্দোলন-সংগ্রামে’ ছিলেন তিনি।