জানা যায়, কুষ্টিয়াগামী গড়াই পরিবহনের দ্রুতগতির বাস একটি ট্রাককে অতিক্রম (ওভারটেক) করছিল। হঠাৎ বাসের চালক সামনে একটি ট্রাক দেখে ব্রেক করেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের ওপর উল্টে যায়। আর বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির ট্রাকটি বাসটিকে মাঝ বরাবর আঘাত করে। দুমড়েমুচড়ে যায় বাসটি। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় শিশু, নারীসহ ৯ বাসযাত্রী। আহত হয় ১৫-২০ জন। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় দুই বাসযাত্রীর। এর পর যশোর সদর হাসপাতালে মারা গেল আহতদের মধ্যে আরো একজন। দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে যশোর সদর হাসপাতালে আরো একজন মারা গেছেন। তার বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে। এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২ জনে দাঁড়িয়েছে।
গতকাল বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজারের আলহাজ আমজেদ আলী তেল পাম্পের কাছে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ও বারোবাজার হাইওয়ে থানার ওসি শেখ মেজবাহ উদ্দীন জানান, বিকেল ৩টার দিকে খুলনা থেকে কুষ্টিয়াগামী গড়াই পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো ১১-০২১৪) একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে বারোবাজারে তেল পাম্পের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের ওপর উল্টে যায়। এ সময় কুষ্টিয়া থেকে যশোরগামী দ্রুতগতির একটি ট্রাক ব্রেক করার চেষ্টা করেও না পেরে বাসটিকে আঘাত করে। এতে বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। নিহত হয় বাসের ৯ যাত্রী। আহত হয় ১৫-২০ জন বাসযাত্রী। তাদের ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুল্যান্সে করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়। পরে যশোর হাসপাতালে মৃত্যু হয় একজনের। এদিকে দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি দ্রুত চলে যায়।
খবর পেয়ে কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ ও যশোর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে লাশ ও বাসটি উদ্ধার করেন।
