মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির ক্ষমতা দখল করায় গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, মিয়ানমারের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক সম্পর্ক থাকবে না। একই সঙ্গে সাহায্য বন্ধসহ সামনের সপ্তাহ থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি হবে।
আর্ডেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের এই প্রজন্মের প্রত্যেক নাগরিক মিয়ানমারের অবস্থা দেখে হতাশ হবে। নিউজিল্যান্ডে এখানে বসে আমরা যা পারি করব।’
নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নানাইয়া মাহুতা আলাদা বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা মিয়ানমারের সেনা-নিয়ন্ত্রিত সরকারকে সমর্থন করি না।’
মাহুতা দেশটিতে আটক সব রাজনৈতিক নেতার মুক্তিও দাবি করেন।
সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেয়ার পর মিয়ানমারের সাধারণ মানুষও বসে নেই। রবিবার ইয়াঙ্গুন শহরে যে প্রতিবাদ-মিছিল বের হয় তা ছিল গত এক দশকের মধ্যে বৃহত্তম।
বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাচ্যুত ও গৃহবন্দী নির্বাচিত নেতা অং সান সু চি-র মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনর্বহালের দাবি করছেন।
গত সপ্তাহে মিয়ানমারের নির্বাচনে কারচুপির প্রমাণবিহীন দাবি করে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে এবং দেশে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে। সু চি-সহ বেসামরিক রাজনৈতিক নেতাদের বন্দী করা হয়।
সামরিক বাহিনীর প্রধান মিন অং লাইং এখন দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি।
অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ ঠেকাতে সেনা কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিল কিন্তু তা সত্ত্বেও রোববার প্রায় লাখখানেক লোক রাজপথে নেমে আসে।