ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রকাশিত দুর্নীতির ধারণাসূচকে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে পাকিস্তানের অবস্থান ১২৪।তবে দুর্নীতির বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল যে রিপোর্ট করেছে ইমরান খান তাতে ভিন্নমত পোষণ করছেন। তিনি যুক্তি দেখাচ্ছেন যে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দেওয়া দুর্নীতির তথ্য তার সরকারের জন্য প্রযোজ্য নয়; যখন বিরোধীদল ক্ষমতায় ছিল এ দুর্নীতি তখনকার। তবে বর্তমানের বিরোধীদলগুলো তার অনেককিছুই অস্বীকার করছেন।
আন্তর্জাতিক দুর্নীতি ধারণাসূচকে পাকিস্তানের চার পয়েন্ট অবনয়ন ঘটায় কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার। ২০১৮ সালে ইমরান খান ক্ষমতায় আসার আগে পাকিস্তানে দুর্নীতির অবসান ঘটানোর জোরালো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
ইমরান খান সরকারের অনেক এমপি, মন্ত্রী ও উপদেষ্টার বিরুদ্ধে মারাত্মক রকমের দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাদের অনেকেই আগে বিরোধীদলে ছিলেন।
পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের ভেতরে ধারণা হচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার পূর্বসূরীদের মত ব্যক্তিগতভাবে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত নন তবে সরকারের এবং প্রধানমন্ত্রীর বহু ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি দেশের অর্থনৈতিক নানা কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন।