মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, এসব টিকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিএমএসডি, ইপিআ্ই এবং তেজগাঁও হেলথ কমপ্লেক্সের কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করা হবে। বাংলাদেশ সরকারিভাবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার তিন কোটি ডোজ কিনছে, যার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা ২৫ জানুয়ারির মধ্যে দেশে পৌঁছাবে বলে আশা করছে সরকার।
এর বাইরে উপহার হিসেবে যে ২০ লাখ ডোজ টিকা ভারত পাঠাচ্ছে, তাও সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকা। মহামারীর সঙ্কটে প্রতিবেশী দেশের জন্য শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে এই টিকা ভারত দিচ্ছে।
খুরশীদ আলম জানান, সরকারের কেনা ৩ কোটি ডোজ টিকার প্রথম চালান হাতে পাওয়ার পর সব জেলায় একসঙ্গে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা। “প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যকর্মীদের কিছু টিকা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এক সপ্তাহ পর সব জেলায় শুরু করা হবে। এটাই আমাদের পরিকল্পনা।”
সব কিছু ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে মাঠ পর্যায়ে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেজন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকেই অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, টিকা প্রয়োগের বিস্তারিত পরিকল্পনা করতে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি সভা হবে, সেখানেই সব চূড়ান্ত হবে।
ভারতের উপহারের ২০ লাখ ডোজ টিকা কখন কাকে দেওয়া হবে জানতে চাইলে খুরশীদ আলম বলেন, “এখনও এ বিষয়ে নির্দেশনা পাইনি। মন্ত্রণালয় আমাদের যেভাবে জানাবে, সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আসেন। ভারত থেকে আসা টিকার ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন তিনি।