গত তিন আসরেই নক আউট পর্বে উঠেছিল লাল সবুজের ইমার্জিং দল। কিন্তু কোনটিতেই ফাইনালের স্বাদ পাওয়া হয়ে ওঠেনি। অবশেষে চতুর্থ আসরে এসে বহুকাঙ্খিত সেই প্রথমের দেখা পেল।
ইমার্জিং এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে আফগানিস্তানকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মত টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ।
জয়ের জন্য নির্ধারিত ৫০ ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ২২৯ রান। শান্ত-সৌম্যরা যা ছুঁয়ে ফেলল মাত্র ৩ উইকেটের খরচায়, তাও মাত্র ৩৯.৫ ওভারে।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ অধিনায়ক। ব্যাটিংয়ে নেমেই বাংলাদেশি ওপেনার হাসান মাহমুদের বোলের তোপরে মুখে পরে ২৪ রান করতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে আফগান ব্যাটসম্যানরা। পরে ডারউইস রাসুলির ১২৮ বলে ১১৪ রানের ইনিংসটিই আফগানিস্তানকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনে, আর দল ২২৮ রানের সংগ্রহ পায়। সৌম্যও শেষ ওভারে ২ উইকেট নিয়ে মোট ৩ উইকেট পায়।
রান তাড়ায় নেমে দলীয় ২৬ রানেই ওপেনার নাইম শেখকে হারায় বাংলাদেশ। ১৭ রানে ফেরেন নাইম, কিছুটা চাপে পড়ে আয়োজক দল। দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্যর সঙ্গে ১০৭ রানের জুটির ইনিংস করে সেই চাপ দূর করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
৫৯ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে আবদুল ওয়াসির বলে কাটা পড়েন সোম্য। দলীয় রান তখন ১৩৩। সৌম্য ফেরার পর শান্তও বেশিক্ষন থাকতে পারেননি, দলীয় ১৫৪ রানে সেই ওয়াসি তাকে ওয়াহেদুল্লার হাতে তুলে দিয়ে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান। যাওয়ার আগে শান্ত নামের পাশে যোগ করেন ৫৯ রান।
এরপর অবশ্য আফিফ হোসেন ধ্রুব ও ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বির সতর্ক ব্যাটে আর কোন বিপদ ছাড়াই ২২৯ রানের জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে বাংলাদেশ। ৩৯ বলে তিনটি চার ও দুটি ছয়ের আফিফ অপরাজিত ছিলেন ৪৫ রানে। আর ইয়াসির আলী রাব্বি ৫৬ বল খেলে অপরাজিত থাকেন ৩৮ রানে।
স্কোরঃ আফগানিস্তান ২২৮/৯ (৫০ ওভার), (হাসান ৪৮/৩, সৌম্য ৫৯/৩);
বাংলাদেশ ২২৯/৩ (৩৯.৫ ওভার), ( সৌম্য ৬১, শান্ত ৫৯, আফিফ* ৪৫ ও ইয়াসির* ৩৮)।
ফলাফলঃ বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।